অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী এই ভেষজ উদ্ভিদটির সাথে কম বেশি আমরা প্রায় প্রত্যেকেই পরিচিত। ঘৃতকুমারীর ব্যবহার হয়ে আসছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই। এর পাতার নির্যাসে মধ্যে রয়েছে ভিটামিন (A,B1,B2,B12,C,E), ফোলিক অ্যাসিড, খনিজ মৌল, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড প্রভৃতি।এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপদান যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রাচীনকালে রূপচর্চার একটি অন্যতম উপকরণ হল ঘৃতকুমারী। এছাড়াও যারা ডায়াবেটিস এর সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান।



অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর ক্ষতিকারক দিক


অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী একদিকে যেমন আমাদের নানা উপকার করে তেমনই এর কিছু খারাপ দিকও রয়েছে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী? 

1.অতিরিক্ত অ্যালোভেরা ব্যবহারের ফলে অ্যালার্জি ঘটিত রোগ যেমন- রেশ, দাদ ইত্যাদি হতে পারে।
2. অ্যালোভেরায় ল্যাটিক্স নামক এক বিশেষ উপাদান থাকায় বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন- অর্শ,ক্ষুদ্রান্তের রোগ,আলসার ,এপেন্ডিসাইটিস প্রভৃতি দেখা যায় ।
3.সদ্য কাটা অ্যালোভেরা মাখা হলে অনেক ক্ষেত্রে স্কিনের নানান ক্ষতি হয়ে থাকে।
4.গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের অ্যালোভেরা সেবন নিরাপদ নয়। 
5.অ্যালোভেরার মধ্যে থাকা ল্যাটিক্স উপাদান দীর্ঘদিন ধরে আমাদের শরীরে গিয়ে কিডনি সমস্যা,পেট ব্যথা,  ডায়রিয়া,পেশী দুর্বলতার মতো নানা সমস্যার সৃষ্টি করে।
6. অ্যালোভেরা অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে হার্টের নানান সমস্যার সৃষ্টি করে।


কীভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করব?


অ্যালোভেরা কেটে আনার পর কমপক্ষে 1 ঘন্টা সেটিকে রেখে দিতে হবে তারপর ব্যবহার করতে হবে। অ্যালোভেরা কেটে আনার পর দেখা যাবে এক ধরনের হলুদ তরল উপাদান বেরিয়ে আসছে এটিই হল অ্যালো ল্যাটিক্স।এই তরলটি শরীরে প্রবেশ করলে নানান সমস্যার সৃষ্টি করে। এছাড়াও এই উপাদান সহ অ্যালোভেরা ত্বকে ব্যবহৃত হলে বিভিন্ন পার্শপ্রতিক্রিয়া ঘটে।
অ্যালোভেরা সেবনের ক্ষেত্রে সব থেকে ভালো হয় বাজার থেকে কোনো ভালো মানের অ্যালোভেরা জুস ব্যবহার করা। এছাড়াও সঠিক নিয়মে অ্যালোভেরা জুস তৈরি করে তা সেবন করা অবশ্যই নিরাপদ।








                    ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
                               ::  ধন্যবাদ  ::